বঙ্গবন্ধু কর্নার , সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি ১৯২০ সালে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টঙ্গী পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দয়ালু, সাহসী ও প্রতিবাদী। তিনি সর্বদা গরিব-দুঃখী মানুষের কথা ভাবতেন। গরীব দুঃখী মানুষের উপর কোন ধরনের নির্যাতন হলে তিনি সর্বদা তার প্রতিবাদ করেছেন। তাই তার জীবনের অধিক সময় তাকে জেলে কাটাতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়ের আগ পর্যন্ত মোট তেইশ বছরের অর্ধেকের বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন জেলে। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত মানুষকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন একটি স্বাধীন দেশ গঠনের জন্য। তারই চেষ্টায় আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক। তিনি আমাদের দেশের উন্নতির জন্য সকল ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন। তিনি এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলেন যেটি হবে সবথেকে বেশি উন্নত এবং সব থেকে সুন্দর। তাই তাকে বাংলার সকল মানুষ ভালোবাসতো, শ্রদ্ধা করত। তার প্রতি ছিলো মানুষের গভীর বিশ্বাস। কিন্তু একদল ষড়যন্ত্রকারীর হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। আপনজন হারালে মানুষ যেমন দুমড়ে-মুচড়ে পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরেও মানুষ শোকে বজ্রাহত হয়ে পড়ে। তার মৃত্যুর পর বাংলাদেশের উন্নতি থেমে যায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু থাকলে হয়তো তারাও দ্রুত এবং আরো সুন্দর হতো। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা সেই অর্জনের পথে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি। কেননা বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিল সেখানে থাকবে না কোনো দুর্নীতি, সেখানে কোন মানুষ থাকবে না অনাহারে। কিন্তু বাংলাদেশে আজও তেমন নয় তাই আমাদের বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তার চরিত্র গত দিক গুলো থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে হাতে হাত ধরে। বঙ্গবন্ধু তার কাজের মাধ্যমে তার নাম বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু নিয়ে যত প্রশংসা করা হোক না কেন একটু বাড়িয়ে বলা হবে না। সে চিরকাল আমাদের মনে। তাকে তো আর ভোলা যায় না। তিনি জাতির পিতা। তিনি আমাদের অতি আপনজন।
-বঙ্গবন্ধু কর্নার, সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর